價格:免費
更新日期:2019-02-20
檔案大小:5.2M
目前版本:2.89
版本需求:Android 4.4 以上版本
官方網站:mailto:harispgd@gmail.com
বজ্রপাত হলো মেঘের এক জটিল অঙ্ক। ঋতু পরিবর্তনের সময় আসমান ও পাতালে যে অস্থিরতা তৈরি হয়, তারই
প্রকাশ ঘটে বজ্রপাতের ভেতর দিয়ে। প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে বজ্রপাত খুব পরিচিত, সুন্দর, রহস্যময় এবং একই
সাথে আতঙ্কের।
অসংখ্য হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্ম হয় প্রতি বছর বজ্রপাত জনিত কারণে। আক্রান্তদের পরিবার সারা জীবন এই
ক্ষত বয়ে বেড়ায়। আমাদের সামনে কোনটা আসে; কোনটা আসেনা। আমরা জানলেও কোন কিছুই করতে পারিনা।
বজ্রপাতের ধাতব সংস্পর্শতা বা ধাতব দূর্বলতা রয়েছে। বজ্রপাতের সময় ধাতব কিছুর সংস্পর্শে থাকলে মানুষ
সবচেয়ে বেশি বিপদের মধ্যে থাকে। ধাতব পদার্থ দিয়ে বজ্রপাত আবেশিত হয়ে মাটিতে মিশে যায়। বজ্রপাতের এই
ধাতব সংস্পর্শতা বা ধাতব দূর্বলতাকে কে ব্যবহার করে বজ্রপাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব । তাই জনগণের
জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সারা দেশে বজ্রদন্ডের টাওয়ার স্থাপন করা জরুরী। বজ্রদন্ড হলো-উচ্চমাত্রার বজ্র
বিদ্যুতকে মাটির সাথে দ্রুত মিশে যাওয়ার একটি ব্যবস্থা। তামা ও অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুর বৈদ্যুতিক রোধ
অনেক কম থাকে। অর্থাৎ তামা ও অ্যালুমিনিয়াম বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। সেজন্য বজ্রদন্ড তৈরীতে তামা ও অ্যালুমিনিয়াম
প্রভৃতি ধাতু ব্যবহার করা হয়। সারা দেশব্যাপী দেড় থেকে দুই কোটি বজ্রদন্ডের টাওয়ার স্থাপন করলে; বজ্রপাত
জনিত মৃত্যুর হার ৮০ ভাগেরও বেশি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করি।
⦾ ইসরাইল ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর দূরপাল্লার রকেট/আর্টিলারি/মর্টার আকাশে
থাকা অবস্থায় ধ্বংস করার জন্য ইসরাইল ‘আয়রন ডোম’ সিস্টেম উদ্ভাবন করেছে।
⦾ ইসরাইলের কথা বলার কারন এই যে- একটি মিসাইল পূর্ণ আয়রন ডোম ব্যাটারি মোতায়েন করতে প্রায়
৪,৪৩,২০,০০,০০০ (চারশত তেতাল্লিশ কোটি বিশ লক্ষ) টাকা খরচ হয়। ইসরাইল একটি মিসাইল পূর্ণ
আয়রন ডোম ব্যাটারি মোতায়েন করে ১৫০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার লোকের সুরক্ষার কাজ
করে। ইসরাইলের এ ধরনের পাঁচটি ব্যাটারি সারা দেশে মোতায়েন আছে।---
বাংলাদেশে দেড় থেকে দুই কোটি বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার স্থাপনে, ইসরাইলের মত একটি মিসাইল পূর্ণ আয়রন
ডোম ব্যাটারির খরচও লাগবে না।
আকাশে ভেসে থাকা মেঘ বজ্রপাতের প্রধান কারন। তাই বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা স্থাপন করার পাশাপাশি
বজ্রপাতকে দূর্বল করার জন্য নতুন নতুন গবেষণা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। নতুন নতুন গবেষণা প্রকল্প
প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন থেকে নিশ্চয় ভালো ফলাফল বেরিয়ে আসবে।
গত ১৩ অক্টোবর, ২০১৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে দশ লক্ষ তালগাছ লাগানোর পাশাপাশি হাওর অঞ্চলে
বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার স্থাপনে গুরুত্ব দিয়েছেন।
তালগাছ লাগিয়ে, সেটা তার আপন জীবন চক্র অনুযায়ী বেড়ে উঠতে কমপক্ষে ৪০-৫০ বছর সময় নেয় বজ্রপাত
ঠেকানোর উপযোগী হতে। তাছাড়া তালগাছ তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের মত বিদ্যুৎ সুপরিবাহী না। সেজন্য তালগাছে
বজ্রপাত পড়লে আগুন ধরে বা ধ্বংস হয়ে যায়।
তালগাছে ফল সম্পর্কে বলা হয়
“যে ব্যক্তি তালগাছ লাগায় তার নাতি বা নাতির ছেলে তাল ফল খায়।”
একবার বজ্রপাতে ক্ষেত্র বিশেষে অনেক মানুষ, পশু, পাখি, পানির মাছ বা গাছপালা ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
কাছাকাছি থাকলে শত তালগাছের জীবন ধ্বংস করার জন্য একদিনের এক বজ্রপাতই যথেষ্ট। তালগাছসহ সব ধরণের
উঁচু গাছ ইদানিং বজ্রপাতে পোড়ে যাচ্ছে বা ধ্বংস হচ্ছে। তাই উঁচু গাছের নিরাপত্তা বিধানেও বজ্রদন্ড বা বজ্রপাত
নিরোধক ব্যবস্থা করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। দশ লক্ষ তালগাছ লাগানোর পাশাপাশি অন্তত প্রতিবছর পাঁচ লক্ষ
বজ্রদন্ড বা বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ।