價格:免費
更新日期:2019-07-04
檔案大小:2.9M
目前版本:1.2.2
版本需求:Android 4.4 以上版本
官方網站:mailto:jusnamal@gmail.com
শরীরের গঠন ঠিক রাখতে মেরুদণ্ড, কাঁধ ও শরীরের অন্যান্য হাড়ের গঠন ঠিক রাখা জরুরি। কিন্তু দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণে দিন দিন নষ্ট হতে থাকে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক গঠন বা পশ্চার। দীর্ঘ সময় বসে থাকা, ভারি ব্যাগ বহন করা, ঝুঁকে কাজ করা এমনকি উঁচু হিল পরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের শরীরের গঠন। আসুন শারীরিক গঠন ঠিক রাখার কৌশলগুলো জেনে নিই।
সঠিকভাবে ব্যাগ বহন করা
ভারি ব্যাগ নিয়মিত বহনের কারণে পিঠে এবং ঘাড়ের প্রচুর ক্ষতি হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ভারি ব্যাগ বহনের ফলে কাঁধের হাড়ে ফাটল ধরা বা বাঁকা হয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে বেশি ভারি ব্যাগ বহনের ক্ষেত্রে অবশ্যই দুই কাঁধে ব্যাগ নেওয়া উচিত। এছাড়াও এমন ব্যাগ নিতে হবে যেটার দু’পাশ থেকে আলাদা বেল্ট দিয়ে কোমরের সঙ্গে আটকে রাখা যায়, এতে শুধু কাঁধে নয় পুরো শরীরে ভার বণ্টন হবে।
নিয়মিত হিল পরার ক্ষেত্রে
ফ্যাশন সচেতন নারীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে হাই হিল স্যান্ডেল বা জুতা। কিন্তু নিয়মিত হাই হিল পরার কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। যারা নিয়মিত হিল পরেন তাদের উচিত মাঝে মধ্যে হিল খুলে পা টানটান করে রাখা। বিশেষত যখন অফিস বা কোথাও বসে থাকেন তখন পা থেকে জুতোজোড়া খুলে রাখতে পারেন। ঘরে ফিরে হালকা ব্যায়াম করুন পায়ের।
দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা
বর্তমান যুগের কাজ আর ব্যস্ততার দৌড়ে প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে হয়, যা আমাদের মেরুদণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কম্পিউটার বা ডেস্কে কাজ করার ফলে ঘাড়ে এবং পিঠে ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। এক্ষেত্রে কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষেত্রে সোজা হয়ে বসে পাজোড়া সামনে সমানভাবে রেখে বসা উচিত। তবে একটানা বসে না থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নেওয়া উচিত। খানিকটা নড়াচড়া এবং হাঁটাহাঁটি করাও সমস্যা এড়াতে সাহায্য করবে।
হালকা নড়াচড়া করা
এক জায়গায় ঠায় বসে না থেকে কাজের ফাঁকে কিছুটা নড়াচড়া করুন। যদি ব্যস্ততার কারণে হাঁটাহাঁটির সুযোগ নাও হয় তবে ঘাড় এবং মাথা হাত দিয়ে মাঝেমধ্যে হালকা ম্যাসেজ করে নিন। এতে শিরাগুলোতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। আর নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
এই এপে যা পাবেনঃ
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা
সামাজিক, ব্যক্তিগত এবং কর্মক্ষেত্রেও অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও হতাশা শারীরিক গঠনের জন্য ক্ষতিকর। কারণ মানসিক চাপের কারণে বেশিরভাগ মানুষই খানিকটা ঝুঁকে চলেন, যা মোটেও স্বাভাবিক নয়। তাই যতটা সম্ভব মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
তিনটি ব্যায়াম
গড়পড়তা যেটাকে মোটা বলে, সেটা হয়তো আপনি নন। কিন্তু শরীরে কোনো কোনো জায়গায় মেদ হয়তো একটু বেশিই, যা আপনার শারীরিক সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটায়। এসব ক্ষেত্রে ডায়েটে খুব একটা কাজ হয় না। এর পরিবর্তে ঘরে বসেই এমন কিছু ব্যায়াম করতে পারেন, যা আপনার শারীরিক গঠন সুন্দর করতে সাহায্য করবে।
প্রথম ব্যায়াম
১. প্রথমেই হাঁটু ভেঙে বজ্রাসনে বসুন। এবার দুহাত দুই হাঁটুর ওপর রাখুন।
২. হাতের পাতা জোড় করে শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটি ওপরে ওঠান।
৩. এবার নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে শরীরকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে কপাল ও হাত দুটিকে মেঝেতে লাগান। এভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। ৩০ সেকেন্ড বিরতি দিয়ে এই ব্যায়ামটাই তিনবার করুন।
উপকারিতা
এই ব্যায়ামটি উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে। মনোযোগ বাড়ায়। হাতের পেশি টান টান করে।
দ্বিতীয় ব্যায়াম
১. প্রথমেই মেঝেতে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার পা দুটি ভেঙে নিন।
২. এরপর হাত দুটি ক্রস আকারে ভাঁজ করে নিন।
৩. এবার নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে শরীরের উপরিভাগকে ওপরের দিকে এমনভাবে টেনে তুলুন, যাতে পেটে চাপ পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আবার নামিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, মাথার পেছনের দিক যেন মেঝেতে না লাগে। এভাবে ১২ বার করলে এক সেট হবে। ১ মিনিট বিরতি নিয়ে পরপর তিন সেট করুন।
উপকারিতা
পেট ও পিঠের উপরিভাগের মেদ কমাতে সাহায্য করে। একটু বয়স হয়ে গেলে শরীরে যে একটা থলথলে ভাব আসে, তা দূর হয়।
তৃতীয় ব্যায়াম
১. মেঝেতে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাত দুটি ভাঁজ করে মাথার পেছনে রাখুন।
২. পা দুটি ৪৫ ডিগ্রি ওপরে তুলুন। এবার ডান কিংবা বাঁ, যেকোনো এক দিকের পা ভেঙে নিন।
৩. এবার ডান হাতের কনুই বাম পায়ের হাঁটুর সঙ্গে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। একইভাবে ডান হাতের কনুই বাঁ পায়ের হাঁটুর সঙ্গে লাগানোর চেষ্টা করুন।
৪. এভাবে ২৪ বার করলে এক সেট হবে। ১ মিনিট বিরতি দিয়ে তিনবার করুন।
উপকারিতা
পেটের নিচের অংশের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কোমরের দুই পাশের মেদ কমিয়ে গঠন সুন্দর করতে সাহায্য করে।