價格:免費
更新日期:2019-03-25
檔案大小:6.4M
目前版本:2.7
版本需求:Android 4.2 以上版本
官方網站:http://mahad.info/
Email:zunaidahmmed@gmail.com
聯絡地址:隱私權政策
রাবেতায়ে আবনায়ে রাহমানিয়া
পরিচিতি
গোটা পৃথিবীতে ইসলাম ও উলূমে নববীর প্রচার-প্রসারের মহান লক্ষ্যে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রায় তিন যুগ ধরে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দাওয়াত-তা’লীম-তাযকিয়ার মাধ্যমে জামি‘আ তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পথহারা মানবতাকে সরলপথ প্রদর্শন ও ঘুণে ধরা সমাজব্যবস্থাকে নববী আদর্শে ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিবছর জামি‘আ থেকে ফারেগ হচ্ছেন বহু সংখ্যক নায়েবে নবী।
একটি দূরদর্শী দীনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার শিক্ষার্থীদেরকে কখনও ফারেগ করে দেয় না; আপন লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কর্মের ময়দানে প্রেরণ করে মাত্র। সে হিসেবে একজন ফারেগ প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানেরই একজন কর্মী ও সক্রিয় সদস্য। বস্তুত আসাতিযায়ে কেরাম নায়াবাতে নবীর মহান দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ফুযালায়ে কেরামকে অবসর করে দিয়েছেন; ফারেগ বা বিচ্ছিন্ন করে দেননি। কেননা দায়িত্বের তাগিদে সন্তান প্রবাসী হলেও পর কখনও হয় না। আসাতিযায়ে কেরাম ও ফুযালাদের এই যে আত্মার বন্ধন তা সব সময়ই অটুট ছিল এবং চিরকালই থাকবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু ইফাদা-ইস্তিফাদার গতিধারা সচল রাখা এবং চিন্তা-চেতনার ধারাপ্রকৃতি নিরাপদ থাকার জন্য এই পরোক্ষ সংযোগ যথেষ্ট নয়; এর জন্য প্রয়োজন এক শক্তিশালী প্রত্যক্ষ যোগাযোগ।
নদীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগহীন নালা-পরনালা যেমন সর্বদা অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগতে থাকে, সময়ের গতিপ্রবাহ তাকে নাম-পরিচয়হীন পয়ঃনালায় পরিণত করে দেয়, তেমনি আসাতিযায়ে কেরাম থেকে প্রত্যক্ষ সংযোগহীন ফুযালায়ে কেরামও কর্মের ময়দানে সমস্যার আবর্তে ঘুরপাকের শিকার হতে পারে। উম্মাহর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাবলী সম্পর্কে থাকতে পারে সম্পূর্ণ গাফেল। সমকালীন ফেতনা-ফাসাদ তাকে স্পর্শ করলেও করণীয় সম্পর্কে হয়তো তার কোন ধারণাই থাকবে না। মোকাবেলার খেয়াল করতেই সে লক্ষ্য করবে ময়দানে সে সম্পূর্ণ একা। এই নিঃসঙ্গতা তাকে হতোদ্যম করে দিবে। অপরদিকে ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ এবং কর্মক্ষেত্রের সমস্যাগুলো আসাতিযায়ে কেরাম ও সহপাঠীদের মধ্যে ভাগাভাগি করার সুযোগ না থাকায় ধীরে ধীরে হীনমন্যতা তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। তারপর একসময় চেতনা ও আদর্শচ্যুতির পথে ঠেলে দিবে। আর ইলমী ও আমলী ইনহিতাত হবে তার ছায়াসঙ্গী।
তাছাড়া এমন অনেক ফাযেল আছেন যারা প্রতিভা ও কর্মোদ্দীপনার একেকটি হীরকখ-। উৎসাহব্যঞ্জক দুটি কথা, প্রণোদনামূলক একটু পরামর্শ তাকে জাতির আকাশে নক্ষত্রের আসনে বসিয়ে দিতে পারে। উপরন্তু ফুযালায়ে কেরামের অস্তিত্ব জামি‘আর প্রতিটি ধূলিকণার কাছে চিরঋণী। সে ঋণভার কিছুটা হলেও লাঘব করার মানসে মাঝে-মধ্যে জামি‘আয় উপস্থিত হয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া, প্রয়োজনবিশেষে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসা এবং দু‘আ ও পরামর্শের মাধ্যমে নিজেকে এর সঙ্গে জড়িয়ে রাখা ফুযালায়ে কেরামের নৈতিক দায়িত্ব বটে।
তো এই বিক্ষিপ্ত হীরকখ-গুলোকে ঘষে-মেজে আরও উজ্জ্বল করে তোলা, একসূতোয় গেঁথে দ্যুতি ছড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া, ইলমী-আমলী ইনহিতাত থেকে সার্বিক সুরক্ষা দেওয়া, সর্বোপরি জামি‘আর খেদমতের পরিধি আরও বর্ধিত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জামি‘আ কর্তৃপক্ষ ও ফুযালায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ, যুগোপযোগী ও কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ ছিল সময়ের দাবী। সেই দাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাবেতায়ে আবনায়ে রাহমানিয়া।
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য
ফারেগীন ছাত্রদের সার্বিক সংশোধন ও উন্নতি সাধন।
আসাতিযায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে দীনী খিদমত আঞ্জাম দান।
ফুযালায়ে কেরামের পারস্পরিক যোগসূত্র অক্ষুণ্ণ ও অব্যাহত রাখা।
দেশব্যাপী আসাতিযায়ে কেরামের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্থানীয় ফুযালাদের উদ্যোগ গ্রহণ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।
আসাতিযায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আদর্শ সমাজ গঠনের সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহণ।
গোটা দেশে রাহমানিয়ার আদর্শ ও চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে দেয়া। এ লক্ষ্যে প্রতিটি থানায় একটি প্রাথমিক পর্যায়ের এবং প্রতি জেলায় একটি মাধ্যমিক পর্যায়ের রাহমানিয়ার শাখা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
জামি‘আর যে কোন প্রয়োজনে জান-মাল নিয়ে খিদমত পেশ করা ও যথাসাধ্য চেষ্টা-ফিকির করা।
জাতীয় ফিতনা-ফাসাদ মোকাবেলায় সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ।
উদ্ভূত দীনী সমস্যাবলীর ক্ষেত্রে কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিকনির্দেশনা প্রদান।
কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন জটিলতা নিরসনে আসাতিযায়ে কেরামের অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার আলোকে পথনির্দেশ গ্রহণ।
ব্যক্তিগত সমস্যাবলী নিরসন। সমস্যা দূরীকরণে প্রয়োজনে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ
রাবেতার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী ফান্ড গঠন