速報APP / 圖書與參考資源 / জিম করবেটের বাঘ শিকার

জিম করবেটের বাঘ শিকার

價格:免費

更新日期:2018-11-14

檔案大小:5.2M

目前版本:1.0

版本需求:Android 4.1 以上版本

官方網站:http://onlinearabian.com.bd

Email:aisnaband@gmail.com

聯絡地址:隱私權政策

জিম করবেটের বাঘ শিকার(圖1)-速報App

মানুষখেকো চিতার খোঁজে

চিতাবাঘ সাধারণত মানুষখেকো হয় না এবং সেজন্য তাদের সম্বন্ধে খুব কম তথ্যই জানা আছে। এদের সম্বন্ধে আমার নিজের অভিজ্ঞতা খুবই কম। বহু বছর আগে এক চিতাবাঘ মারতে গিয়ে আমি ধরে নিয়েছিলাম যে সাধারণ বাঘ যখন মানুষখেকো হয় তখন তার যা পরিবর্তন ঘটে চিতাবাঘের ক্ষেত্রেও সেরকমই হয়। এটা ধরে নিয়েই আমি মানুষখেকোটি মারতে চেষ্টা করেছিলাম।

চিতাবাঘ মারার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় সেটি হল তার শিকার করা কোন মৃতদেহের কাছে অপেক্ষা করা অথবা টোপ হিসাবে কোন ছাগল বা ভেড়া বেঁধে রেখে বাঘটির অপেক্ষায় বসে থাকা। একটি ক্ষেত্রে বাঘটি যেখানে কোন প্রাণী মেরেছে সে স্থানটি চিহ্নিত করতে হবে আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে প্রথমে তার আস্তানা খুঁজে বার করতে হবে।

জিম করবেটের বাঘ শিকার(圖2)-速報App

আমার রুদ্রপ্রয়াগে আসার উদ্দেশ্য ছিল চিতাটি যাতে আর মানুষ মারতে না পারে সেটি দেখা; অতএব পরের মানুষটি মারা যাবে এবং তার মৃতদেহের কাছে আমি বাঘটির জন্য অপেক্ষা করব এতে আমি রাজি ছিলাম না। কাজেই আমি জীবন্ত কোন পশু বেঁধে রেখে বাঘটির জন্য বসে থেকে সেটিকে মারার চেষ্টা করব সেটাই ঠিক করলাম।

এখানেই একটা অসুবিধা দেখা দিল। আমার কাছে যে তথ্য ছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে বাঘটি পাঁচশ’ বর্গমাইল অঞ্চল তার শিকারের স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছে। গাড়োয়ালের মত কঠিন পাহাড়ী এত বিস্তীর্ণ কোন অঞ্চলে শুধুমাত্র রাতের বেলাই শিকার করে এরকম একটা প্রাণীকে খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হল। শেষে আমি অলকানন্দা নদীটিকে লক্ষ্য করলাম যেটি এ অঞ্চলকে মোটামুটি সমান দু’ভাগে ভাগ করেছে।

স্থানীয় লোকের ধারণা ছিল অলকানন্দা বাঘটির কাছে কোন বাধাই নয়; নদীর একপাশে শিকার না পেলে অনায়াসে সে সাঁতরে নদী পার হয়ে অন্যদিকে চলে আসতে পারে। আমি কিন্তু এই ধারণা সমর্থন করতে পারলাম না। আমার মতে একটা চিতাবাঘ কোন অবস্থাতেই খরস্রোতা নদীর বরফ-গলা ঠান্ডা জলে সাঁতার কেটে এক পার থেকে অন্য পারে যেতে চাইবে না। আমার স্থির বিশ্বাস ছিল বাঘটি ঝোলা পুল দিয়েই এক দিক থেকে অন্য দিকে যাতায়াত করে।

জিম করবেটের বাঘ শিকার(圖3)-速報App

ঐ অঞ্চলে দু’টি ঝোলা পুল ছিল; একটি রুদ্রপ্রয়াগে, অপরটি নদীর বার মাইল উপর দিকে চাটোয়াপিপল নামক স্থানে। এ দু’টি পুলের মাঝখানে একটি দোলনা সেতু ছিল – যেটি দিয়ে ‘বিটে’র সময়ে ইবটসন, তার সঙ্গীরা এবং আরও দু’শ লোক নদীটি পেরিয়েছিল। এই সেতু দিয়ে সম্ভবতঃ ইঁদুর ছাড়া আর কোন প্রাণী পেরোতে চাইবে না। এ রকম ভয়াবহ কাঠামোর সেতু আমি জীবনে দেখি নি। হাতে পাকানো এক জোড়া ঘাসের দড়ি দিয়ে দু’শ ফুট লম্বা সেতুটি ঝোলান রয়েছে; দড়িগুলিতে সময়ের সঙ্গে কাল রঙ ধরেছে এবং নদী থেকে উঠে আসা জলীয় বাস্পে সেগুলি পিছল হয়ে রয়েছে। সেতুর নীচের শুভ্র ফেনিল জল একশ’ গজ দূরে দু’টো পাথরের দেয়ালে লেগে গুরু গর্জন করে ছুটে চলেছে। এখানেই একটা কাকর (পাহাড়ী হরিণ) কতকগুলি বুনো কুকুরের তাড়া খেয়ে অলকানন্দার জলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দুই দড়ির মাঝখানে পা ফেলার জায়গায় দেড়-দু’ ইঞ্চি ব্যাসের কাঠের টুকরো ছ’ফুট ব্যবধানে ঘাসের দড়ি দিয়ে আলগা করে বাঁধা রয়েছে। আরো যা হয়েছে সেটা হল, একটি দড়ি একটু বেশি ঝুলে যাওয়ায় পা ফেলার কাঠের টুকরোগুলো পয়তাল্লিশ ডিগ্রি বেঁকে গিয়েছে।

জিম করবেটের বাঘ শিকার(圖4)-速報App